Tuesday, July 15, 2025

বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রের ৮৮৩ শিক্ষার্থীর সংশোধিত ফল প্রকাশের নির্দেশ

বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া ৮৮৩ পরীক্ষার্থীর ফলাফল সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের ভুলে ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ৫০ নম্বরের স্থলে ২৫ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে শিক্ষা বোর্ডে ফলাফল পাঠানো হয়েছিল। 

 পরে কেন্দ্র সচিবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই পরীক্ষার্থীদের ফলাফল সংশোধনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। রোববার বিকালে কেন্দ্র সচিব ও বগুড়া জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিমা নাসরিন জানান, আগামী ১৭ জুলাই এ সমস্যার সমাধান হবে। 



 রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্টের কাছে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্র সচিব উল্লেখ করেন, বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থীর ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় নির্ধারিত নম্বর ৫০-এর স্থলে ভুলবশত ২৫ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে পাঠানো হয়েছে। 

কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থীর ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ব্যবহারিক নম্বর ২৫ এর স্থলে ৫০ সন্নিবেশিত করে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ জানানো হয়েছে। বগুড়া জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব সেলিমা নাসরিন বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ভুলের ঘটনা ঘটেছে। ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ২৫ এর বদলে ৫০ নম্বর সন্নিবেশিত করে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা বোর্ডে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। 


আগামী ১৭ জুলাই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে বলে তিনি আশা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসসির ফলাফল প্রকাশের পর ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বিষয়ে কম নাম্বার পাওয়ার বিষয়টি নজরে আসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। 


ফলাফল দেখে তারা স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়েন জিলা স্কুলের শিক্ষকরা। এ সময় উত্তেজিত অভিভাবকদের হাতে কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। 


এ ঘটনায় বগুড়া জিলা স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নেতারা ক্ষিপ্ত হন। তারা শিক্ষকদের লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িতদের অভিভাবকদের শনিবার মধ্য রাতের মধ্যে স্কুলে এসে ক্ষমা চাইতে বলেন।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: